CONTACT: 09610911911

Millet Rice-কাউনের চাল


কাউনের চাল কি? এই চালের যত উপকারিতা: 

কাউন বা কাউনের চাল আমাদের অনেকের পরিচিত একটি শস্য। এটা মানুষের খাদ্য হিসাবে চাষ শুরু হয়েছিল প্রায় ৫ হাজার বছরে আগে চায়নাতে। চীন থেকে এই চালের প্রচলন শুরু হয় ভারতীয় উপমহাদেশে। বাংলাদেশে কাউনের চাল কাউনের দানা নামেও ডাকা হয় অনেক অঞ্চলে।

বাংলাদেশে কাউনের চাল এক সময় মানুষ তাদের দৈনন্দিন খাবারের চাহিদা পূরণ করত। সময়ের ব্যবধানে সেই চালের চাষ কমে যাচ্ছে। কিন্ত এই চাল স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারি একটা শস্য। স্বাস্থ্যের এই দারুণ উপকারিতা এবং ডায়েটে অসাধারণ ভূমিকা পালন করার কারণে একে অনেক বর্তমান সময়ে সুপারফুড বলে আখ্যায়িত করে থাকে।

সাধারণ চালের সঙ্গে কাউনের চাউলের অনেক তফাৎ বিদ্যমান। সাধারণ চালের তুলনায় কাউনের চাল ১৮-২০ শতাংশ বেশি শক্তি দিয়ে থাকে। বাংলাদেশের উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চলের প্রায় সব জেলায় কমবেশি কাউনের ধান চাষ করা হয়। সবচেয়ে বেশি কাউনের ধানের চাষ করা হয় উত্তরবঙ্গে।

ছোট দানাবিশিষ্ট কাউনের চালে আছে আছে প্রোটিন, ফাইবার, অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসহ আরও অনেক পুষ্টি উপাদান। অতিথি আপ্যায়নে, উৎসব-পার্বণে কাউনের পায়েশের বেশ প্রচলন আছে। বিস্কুট তৈরিতেও কাউন ব্যবহৃত হয়।

কাউনের চাল দিয়ে শুধু পায়েশই নয়, বিরিয়ানি, ভুনা খিচুড়ি এমনকি সাদা ভাতও রান্না করা যায় । চাল বা গমের মত এই দানায় শর্করা নাই, যার জন্য স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ সহজেই কাউন চাল কে বেছে নেন। চলুন জেনে নিই এই কাউনের চালের পুষ্টগুণ এবং উপকারিতা সম্পর্কে।

কাউনের চালের পুষ্টিগুণ

পুষ্টিমানের দিক থেকে কাউন অত্যন্ত সমৃদ্ধ। কাউনের চাল এমন একটি শষ্য দানা যাতে আছে প্রচুর পরিমানে আমিষ ও খনিজ লবন। প্রতি ১০০ গ্রাম কাউনের চালে ৩৭৮ ক্যালোরি প্রোটিন, ৯ গ্রাম পানি, ৭৩ মিলিগ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৪ গ্রাম মিনারেল, ৭৭ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি, ৩০০ ক্যালোরি ডায়োটরি ফাইবার, পটাসিয়াম ৬০ মিলিগ্রাম। যা আমাদের খাওয়া সাধারণ চালের চেয়ে প্রায় ২০ শতাংশ বেশি। এজন্যই বিজ্ঞানীরা একে অন্যতম সুপারফুড বলে থাকেন।

কাউনের চালের যত উপকারিতা

ভিটামিন ও মিনারেল সমৃ্দ্ধ : কাউনের চাল ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ একটি খাবার। কাউনের চাল আমাদের এনর্জির ঘাটতি পূরণ করে। আমাদের শরীরকে কর্ম্ক্ষম এবং সচলতা বজায় রাখতে প্রতিদিন নির্দিষ্ট মাত্রায় ভিটামিন এবং মিনারেলের প্রয়োজন। আর এসব ভিটামিন এবং মিনারেল আসে প্রতিদিন সকালে নাস্তায় কাউনের চালের তৈরী খাবার খাওয়া যায়।

খারাপ কোলেস্টরল দূর করে : আমাদের শরীরে যখন খারাপ কোলেস্টরলের পরিমাণ বেড়ে যাবে তখন আমাদের নানা রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দিবে। আর এর মধ্যে অন্যতম হলো হার্টের সমস্যা। আর এই কোলেস্টরল কমাতে কিন্তু কাউনের চাল অনেক কার্যকরী।আসলে কাউনের চালে কিছু উপকারী উপাদান আমাদের রক্তে মিলে থাকা এল ডি এল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

রক্তচাপ হলে : আমাদের রক্তচাপ জনিত সমস্য কমাতে কাউনের চাল দারুণ একটি সমাধান। কারণ আমাদের শরীরে লবনের মাত্রা বেড়ে গেলে আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রলে বাহিরে চলে যায়। আর কাউনের চালে থাকা পটাশিয়াম আমাদের শরীরে লবনের ভারসাম্য বজায় রেখে আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে : কাউনের চালে প্রচুর পরিমাণে আশ থাকায় এটি আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। তাই এই সমস্যার কারণে যাদের সকালটা অনেক কষ্টের হয়ে থাকে তাদের জন্য কাউনের চালের তৈরী খাবার ভীষণ উপকারী।

দেহগঠন : কাউনের চালে আছে খাদ্যশক্তি । যা আমাদের দেহ গঠনে যথেষ্ট সাহায্য করে। এছাড়াও এতে থাকা ভিটামিন বি এবং নানা উপকারী খনিজ উপাদান আমাদের দেহ গঠন এবং আমাদের কোষকলার সুস্থ্যতায় সাহায্য করে।

এইচ



Unit:

কাউনের চাল কি? এই চালের যত উপকারিতা: 

কাউন বা কাউনের চাল আমাদের অনেকের পরিচিত একটি শস্য। এটা মানুষের খাদ্য হিসাবে চাষ শুরু হয়েছিল প্রায় ৫ হাজার বছরে আগে চায়নাতে। চীন থেকে এই চালের প্রচলন শুরু হয় ভারতীয় উপমহাদেশে। বাংলাদেশে কাউনের চাল কাউনের দানা নামেও ডাকা হয় অনেক অঞ্চলে।

বাংলাদেশে কাউনের চাল এক সময় মানুষ তাদের দৈনন্দিন খাবারের চাহিদা পূরণ করত। সময়ের ব্যবধানে সেই চালের চাষ কমে যাচ্ছে। কিন্ত এই চাল স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারি একটা শস্য। স্বাস্থ্যের এই দারুণ উপকারিতা এবং ডায়েটে অসাধারণ ভূমিকা পালন করার কারণে একে অনেক বর্তমান সময়ে সুপারফুড বলে আখ্যায়িত করে থাকে।

সাধারণ চালের সঙ্গে কাউনের চাউলের অনেক তফাৎ বিদ্যমান। সাধারণ চালের তুলনায় কাউনের চাল ১৮-২০ শতাংশ বেশি শক্তি দিয়ে থাকে। বাংলাদেশের উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চলের প্রায় সব জেলায় কমবেশি কাউনের ধান চাষ করা হয়। সবচেয়ে বেশি কাউনের ধানের চাষ করা হয় উত্তরবঙ্গে।

ছোট দানাবিশিষ্ট কাউনের চালে আছে আছে প্রোটিন, ফাইবার, অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসহ আরও অনেক পুষ্টি উপাদান। অতিথি আপ্যায়নে, উৎসব-পার্বণে কাউনের পায়েশের বেশ প্রচলন আছে। বিস্কুট তৈরিতেও কাউন ব্যবহৃত হয়।

কাউনের চাল দিয়ে শুধু পায়েশই নয়, বিরিয়ানি, ভুনা খিচুড়ি এমনকি সাদা ভাতও রান্না করা যায় । চাল বা গমের মত এই দানায় শর্করা নাই, যার জন্য স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ সহজেই কাউন চাল কে বেছে নেন। চলুন জেনে নিই এই কাউনের চালের পুষ্টগুণ এবং উপকারিতা সম্পর্কে।

কাউনের চালের পুষ্টিগুণ

পুষ্টিমানের দিক থেকে কাউন অত্যন্ত সমৃদ্ধ। কাউনের চাল এমন একটি শষ্য দানা যাতে আছে প্রচুর পরিমানে আমিষ ও খনিজ লবন। প্রতি ১০০ গ্রাম কাউনের চালে ৩৭৮ ক্যালোরি প্রোটিন, ৯ গ্রাম পানি, ৭৩ মিলিগ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৪ গ্রাম মিনারেল, ৭৭ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি, ৩০০ ক্যালোরি ডায়োটরি ফাইবার, পটাসিয়াম ৬০ মিলিগ্রাম। যা আমাদের খাওয়া সাধারণ চালের চেয়ে প্রায় ২০ শতাংশ বেশি। এজন্যই বিজ্ঞানীরা একে অন্যতম সুপারফুড বলে থাকেন।

কাউনের চালের যত উপকারিতা

ভিটামিন ও মিনারেল সমৃ্দ্ধ : কাউনের চাল ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ একটি খাবার। কাউনের চাল আমাদের এনর্জির ঘাটতি পূরণ করে। আমাদের শরীরকে কর্ম্ক্ষম এবং সচলতা বজায় রাখতে প্রতিদিন নির্দিষ্ট মাত্রায় ভিটামিন এবং মিনারেলের প্রয়োজন। আর এসব ভিটামিন এবং মিনারেল আসে প্রতিদিন সকালে নাস্তায় কাউনের চালের তৈরী খাবার খাওয়া যায়।

খারাপ কোলেস্টরল দূর করে : আমাদের শরীরে যখন খারাপ কোলেস্টরলের পরিমাণ বেড়ে যাবে তখন আমাদের নানা রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দিবে। আর এর মধ্যে অন্যতম হলো হার্টের সমস্যা। আর এই কোলেস্টরল কমাতে কিন্তু কাউনের চাল অনেক কার্যকরী।আসলে কাউনের চালে কিছু উপকারী উপাদান আমাদের রক্তে মিলে থাকা এল ডি এল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

রক্তচাপ হলে : আমাদের রক্তচাপ জনিত সমস্য কমাতে কাউনের চাল দারুণ একটি সমাধান। কারণ আমাদের শরীরে লবনের মাত্রা বেড়ে গেলে আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রলে বাহিরে চলে যায়। আর কাউনের চালে থাকা পটাশিয়াম আমাদের শরীরে লবনের ভারসাম্য বজায় রেখে আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে : কাউনের চালে প্রচুর পরিমাণে আশ থাকায় এটি আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। তাই এই সমস্যার কারণে যাদের সকালটা অনেক কষ্টের হয়ে থাকে তাদের জন্য কাউনের চালের তৈরী খাবার ভীষণ উপকারী।

দেহগঠন : কাউনের চালে আছে খাদ্যশক্তি । যা আমাদের দেহ গঠনে যথেষ্ট সাহায্য করে। এছাড়াও এতে থাকা ভিটামিন বি এবং নানা উপকারী খনিজ উপাদান আমাদের দেহ গঠন এবং আমাদের কোষকলার সুস্থ্যতায় সাহায্য করে।

এইচ


Category :
Code: